
প্রকাশিত: Sat, May 11, 2024 1:52 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:10 PM
রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো দু’জন চুপ, রাঙা সন্ধ্যা আচমকা নেমে এলো বুঝি আর্জেন্টিনার বিষণ্ন আকাশে
অপরাহ্ণ সুসমিতো : ভিক্টোরিয়া খুব ধীর করে কবির দিকে তাকালেন। কবি যে কোন দূরের পাতার আড়ালে হারালেন বোঝা গেলো না। বিকেলের পারানির কড়ি এখনও ফুরায়নি। বিকেল বেলাটা পাতার আড়ালে গুম হয়ে থাকে। শহরে নীরবতা নেমেছে, তার দীর্ঘ ছায়া এই পার্কে। দূরে কিছু পাখি গাছের মগডালে নেমে পড়া সন্ধ্যার আগমনী গান করছে আপন সুরে। কবি কান পাতলেন। পাখির জানান দেয়া শব্দের ভাষা সব দেশেই এক ও সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক। ভিক্টোরিয়া তার কর্মচারীদের দিয়ে আরামদায়ক চেয়ারটা পার্কের এক ছায়া ঘন জমিনে বসিয়ে দিয়েছেন। এসময়টা গরম নেই, অনুরণিত নরম বিকেল।
মন্থরে মন্থরে দুজনের সময়। ভিক্টোরিয়ার চোখে ঋষি হয়ে ওঠেন কবি। অন্য গ্রহের। ভারত উপমাহদেশ কি ঋষিদের দেশ? ভিক্টোরিয়া এই কবিকে নিয়ে প্রচুর পড়েছেন। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে কবিকে দেখতে হবে.., সমস্ত বিকেল সন্ধ্যা অনুভব করে দেখবে কবির লেখা ‘সন্ধ্যা ও প্রভাত’ এর মতো কিনা। কবি ডাকলেন, ‘বিজয়া।’ মেয়েটা শুধু ডাকটা শুনলো, কোনো জবাব এলো না মুখে। বাংলা ভাষায় বিজয়ের ডাকটা স্প্যানিশ ভাষায় এসে মিশে গেলো যুগল মোহনায়। মেয়েটি অনুভব করল বটে, জবাব দিতে পারলো না। কবি গুনগুন করলেন, ‘বল গোলাপ মোরে বল। তুই ফুটিবি সখী কবে?’
ভিক্টোরিয়া চুপ করে পা ভাঁজ করে সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়ে। কোথায় কী যেন ভেসে যায় বুয়েনেস আইরেসের এই সন্ধ্যায়। কবি বিজয়াকে অপলক দেখছেন। মনে হলো এই বিদেশিনীকে চেনেন, লাতিন পারের এই মেয়েকে চেনেন। এই মেয়েকে তিনি শারদপ্রাতে দেখেছেন, মাধবীরাতেও দেখেছেন। কবি আবার ডুব দিলেন লাতিন সন্ধ্যায়। ও দূরবর্তী, এ কোন মায়াবন বিছিয়ে রেখেছ আমার চোখের সীমানায়। আজ এর পূরবী ওর বিভাসকে আশীর্বাদ করে চলে যাক। কবি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালেবেসেছ বিজয়া কখনও?’ অনেক ক্ষণ কথা বললো না ভিক্টোরিয়া। তারপর আস্তে আস্তে বলতে শুরু করে দূরে কোথাও তাকিয়ে, ‘না পারি শূন্যতা সৃষ্টি করে পূর্ণতা আনতে। পুরুষকে মুগ্ধ করার ছলাকলা রমনীরা তো অনেক জানে। আমি জানি নাই বলেই প্রেম হয়নি হয়তো...।’ রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো দুজন চুপ। রাঙা সন্ধ্যা আচমকা নেমে এলো বুঝি আর্জেন্টিনার বিষণ্ন আকাশে।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
